“শেষমেশ” নাটক রিভিউ।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমি নতুন একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটি সবার পছন্দ হবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য-
- নাটকের নাম-শেষমেশ
- পরিচালাক-কাজল আরেফিন ওমে
- প্রযোজক- আকবর হায়দার মুন্না
- অভিনয় করেছেন-জিয়াউল হক পলাশ, মনিরা আকতার মিঠু, পারসা ইভানা, সাইদুর রহমান পাভেল, শুমন পাটোয়ারী, জিল্লুর রহমান, তানজিম। হাসান অনিক, শিমুল শর্মা, সাদিয়া তানজিন, ইশরাত জাহিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
- সময়- ১ ঘন্টা
- মুক্তির তারিখ- ১৩ এপ্রিল-২০২৪
- ভাষা-বাংলা
- দেশ-বাংলাদেশ।
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ-
কাজল আরেফিন ওমি পরিচালিত খুবই আলোচিত একটি নাটক হল **শেষমেষ ** । নাটকটি ঈদের একদিন পরেই রিলিজ হয়। নাটকটি রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে নাটকের বিভিন্ন ছোট ভোট অংশ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নাটকটি ভাইরাল হওয়ার পেছনের মূল কারণ হলো মায়ের প্রতি ভালোবাসা। একজন ছেলে হিসেবে মায়ের প্রতি কেমন দায়িত্ব থাকতে পারে, আবার একজন মা হিসেবে ছেলেমেয়েদের প্রতি কেমন দায়িত্ব জ্ঞান থাকতে পারে, এমনই একটি গল্প অবলম্বন করে নাটকটির সাজানো হয়েছে। নাটকের বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নাটকের নাম দেখে প্রথমে আমি যেমন চিন্তাভাবনা করেছিলাম, নাটকটি দেখার পরে বুঝলাম বিষয় বস্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে নাটক জগতের ভাইরাল নাম জিয়াউল হক পলাশ ও তার বিপরীতে ছিল পারসা ইভানা। এই নাটকের মধ্যে পলাশের অভিনয় খুবই দারুণ ছিল। যদিও সে নোয়াখালির ছেলে তবে এই নাটকের মধ্যে সে নোয়াখালির কোন ভাষা ব্যবহার করেনি। এছাড়াও নাটকে আরেকটি চরিত্রে অভিনয় করেছে শিমুল শর্মা। তার অভিনয়ও নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। ঈদের পরের দিন তথা ১৩ই এপ্রিল নাটকটির রিলিজ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহে এত পরিমানে ভিউ চিন্তা করা যায় না। এছাড়াও নাটকটিতে ৩০ হাজার প্লাস লাইক এবং ৩১ হাজার প্লাস কমেন্ট পড়েছে।নাটকের মধ্যে সাধারণত এত পরিমানে কমেন্ট পড়ে না তবে এই নাটকে এত কমেন্ট দেখে সত্যি আমি অবাক।
নাটকটি শুরু হয় মূলত পলাশের একটি কল্পনা দিয়ে। নাটকে দেখা যায় পলাশের আম্মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। পলাশ তার মায়ের পাশে বসে কল্পনা করছে তার মা যখন সুস্থ ছিল, তখন তাদের বাসায় ছাদের উপরে তার বন্ধুদের সাথে পার্টি করার সময় তার মা এসে সবাইকে লাঠি দিয়ে দৌড়ানি দিতো, এ বিষয়টা কল্পনা করতে করতে পলাশ হঠাৎ করে জেগে ওঠে। ডাক্তার তার মাকে দীর্ঘদিন রেস্টে রাখতে পরামর্শ দেয়। সবথেকে দুঃখের বিষয় হলো পলাশের আম্মু পলাশকে চিনতে পারেনা। পলাশ তার মায়ের সামনে থাকা সত্ত্বেও তার মা পলাশকে খুঁজে বেড়াই। এ বিষয়টা পলাশের মনে অনেক বড় কষ্ট দেয়। পলাশ একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে, সে বাসায় তার মায়ের পাশে থাকার জন্যে একজন নার্স নিয়োগ দেয়। নার্স সবসময় তার মায়ের সেবা যন্ত্র করে। তবে নার্স একদিন বিরক্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে পলাশ নিজেই সকাল বিকাল তার মায়ের সেবা যত্ন করে। এই সিন গুলো দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে।
একসময় পলাশের মা পলাশকে বিয়ে করার কথা বলে। তখন পলাশ মনে মনে যাকে পছন্দ করত তাকে বিষয়টা জানালে, পলাশের মা অসুস্থ থাকায় সে পলাশকে বিয়ে করতে মানা করে দেয়। তারপর পলাশ নাটক মঞ্চের একটি মেয়েকে ভাড়া করে তার বন্ধু বানিয়ে তার মায়ের সামনে পেশ করে। পলাশের মা সেই নাটকের মেয়ে ইভানাকে তার ছেলের বউ হিসেবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখন আবার সেই মেয়েকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে তার বউ হিসাবে অভিনয় করতে বলে। প্রথমে ইভানা মানা করলেও পরে তার মায়ের কথা চিন্তা করে রাজি হয়। তার বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে একটি ফেইক বিয়ের আয়োজন করে।
পলাশের মা ইভানার মা-বাবার সাথে কথা বলতে চাইলে পলাশ ও তার বন্ধু-বান্ধবরা মিলে আউট দুইজনকে ইভানার মা ও বাবা বানিয়ে নিয়ে আসে। তারপর ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়েও সম্পূর্ণ হয়। বিয়ের দিন রাতে পলাশের মা বাসর ঘরে গিয়ে তার ছেলের বউয়ের হাতে ঘরের সব গয়নাগাটির বক্স দিয়ে আসে। আর ঘরের চাবিও ছেলের বউয়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসে। অথচ সে জানে না এটা তার ছেলের বউ না। ইভানা পলাশের রুমে ঘুমায় আর পলাশ ডাইং রুমে সোফার উপরে ঘুমায়। তারপর যথারীতি সকাল বেলা ইভানা ঘুম থেকে উঠে পলাশকে জাগিয়ে চা দিয়ে, শ্বাশুড়ির জন্য চা নিয়ে যায়। ইভানা গিয়ে দেখে পলাশের মা তথা তার শ্বাশুড়ি ইহ জগত ত্যাগ করে পরজগতে চলে গেছে।
নিজের মতামত-
নাটকে পলাশ তার মায়ের সেবা করার জন্য প্রথমে একজন নার্স ঠিক করেছিল। নার্স চলে যাওয়ার পরে সে তার মায়ের যে সেবা করেছে,সেটা বর্তমানের ছেলেদের থেকে কল্পনাও করা যায় না। সে তার মাকে খুশি করার জন্য পছন্দের মানুষকেও ছেড়ে দিয়েছে। তারপর টাকা দিয়ে ভাড়া করে বিয়েও করেছে। যদিও এগুলো সব তার মাকে খুশি করার জন্য ফেইক ছিল। তারপরও তার মায়ের সুস্থতার জন্য সে সব কিছু করেছে। বর্তমানের যুব সমাজে এই নাটক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
শেষমেষ নাটক টা আমি দেখেছিলাম কয়েকদিন আগেই। এই নাটকটা আমি যখন দেখছিলাম তখন প্রথম প্রথম খুব ভালোই লাগছিল। কিন্তু শেষের মুহূর্তটা অনেক বেশি কষ্টকর ছিল। যেটা দেখে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। চোখে জল চলে এসেছিল শেষটা দেখেই। আর আজকে দেখছি আপনি অনেক সুন্দর করে এই নাটকের রিভিউ লিখেছেন। আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমেও নাটকের সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। এরকম ছেলে সব মায়েরই থাকা দরকার। ছেলে নিজের মায়ের জন্য সবকিছুই করেছিল।
ভাইয়া নাটকটি সবার কাছেই ভালো লাগার। তবে নাটকটি শেষের দিকে সবাইকে অনেক কষ্ট দিয়ে শেষ হয়।
শেষমেষ নাটকটি আমি দেখেছি, সত্যি এই নাটকটি এত সুন্দর লেগেছে আমার কাছে, বাস্তবতার সাথে অনেক মিল রয়েছে। বিশেষ করে মাকে যখন সন্তান গোসল করিয়ে দেয় এই দৃশ্যটি দেখে যেন চোখ দিয়ে পানি এসেছিল। আমার বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই এই নাটকটি করা। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করলেন রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
জ্বী ভাইয়া বাস্তবতা কে কেন্দ্র করে, মায়ের ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য এই নাটকটি শেয়ার করা হয়েছে।
এই নাটকের ছোট ছোট ক্লিপ দেখেছি ফেসবুকে। বেশ ভালো লেগেছে। আপনার শেয়ার করার রিভিউ পড়ে আরো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আপু যে নাটক গুলা ভালো হয়। সে নাটকগুলোর ছোট ছোট ক্লিপ ইউটিউব ও সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আপনাকেও ধন্যবাদ।
যে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সুন্দর এই নাটকটা দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার। আপনার নাটক রিভিউ এর মধ্য দিয়ে কিন্তু বেশ ধারণা পেয়েছি নাটকটা সম্পর্কে। খুব ভালোলাগার একটা নাটক ছিল এটা। আশা করব পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখাবেন।
ভাইয়া চেষ্টা করব সুন্দর, সুন্দর, ভালো উপদেশ মূলক নাটকের রিভিউ দিতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শেষমেষ নাটকটি কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছে। এই নাটকের শেষ মুহূর্তটা খুবই কষ্টের ছিল। নাটকটি সব মিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজকে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে আবার দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই নাটকের শেষ অংশটি দেখে আমারও চোখ দিয়ে জল এসে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও এই নাটক এখনো দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। বাস্তবের ছেলেরা যদি এমন হতো তাহলে হয়তো তাদের বাবা মা কে এত অপমানিত অসম্মতি হতে হতো না। এমন কাজ নাটকেই মানায় বাস্তবে হয়তো সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আপু একদম ঠিক কথা বলেছেন। নাটকের মত যদি এরকম ছেলে হতো। তাহলে মা-বাবাদের এত কষ্ট হতো না। ধন্যবাদ আপু।
এবার ঈদে আমার দেখা সেরা নাটকের রিভিউ করেছেন। শেষমেশ নাটকটির গল্প ছিলো জাস্ট অসাধারন। এধরনের ভিন্ন রকম গল্প গুলো তুলে ধরার জন্য পরিচালক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা এমন থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। নাটকটির মাধ্যমে পরিচালক চমৎকার একটি মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জ্বী ভাইয়া জীবনে কত নাটক দেখেছি। মায়ের জন্য ভালোবাসার এরকম সুন্দর একটি নাটক আমি কখনো দেখিনি। যখন রিভিউ করছি তখন অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শেষমেশ নাটকটা খুব সুন্দর। এই নাটকের মধ্যে ছেলের অভিনয়টা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এরকম ছেলে তো ঘরে ঘরে থাকা উচিত। মাকে খুশি করার জন্য ছেলে কত কিছুই না করেছে। শুধুমাত্র মাকে খুশি করানোর জন্য নকল বিয়েও করলো। শেষ পর্যন্ত তার মা মারা গিয়েছে, বিষয়টা অনেক বেশি দুঃখজনক ছিল। মায়ের প্রতি সন্তানের এরকম ভালোবাসা খুব কম দেখা যায়। এই নাটকটা আমি দেখবো দেখবো করে কিন্তু এখনো দেখা হয়নি। কিন্তু সময় পেলে অবশ্যই নাটকটা আমি দেখবো।
হে আপু বর্তমানে এরকম ছেলে পাওয়া খুবই কষ্ট। মায়ের প্রতি সন্তানের এত সুন্দর ভালোবাসা শেষমেষ নাটকটি দেখে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর নাটক এর রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ তবে এই নাটক এর ছোট ছোট অংশ আমি দেখেছিলাম৷ তবে নাটকটি পুরোপুরি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ আজকে আপনার কাছ থেকে রিভিউ এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং অবশ্যই এই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাই আসলে নাটকটি দেখে নিয়েন। দেখলে আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। শেষের দিকে একটু কষ্ট হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য। সত্যি বলতে নাটক তেমন একটা দেখা হয় না তবে রিভিউগুলো পড়লে মোটামুটি নাটক সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। যাই হোক সর্বোপরি বেশ ভালো ছিল রিভিউটি।