The KFD Express রেস্টুরেন্টে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। এমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে এমন গরমের মাঝেও ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। রিসেন্টলি আমার একজন কাছের বান্ধুবীর সাথে গিয়েছিলাম " The KFD Express " নামের একটি রেস্টুরেন্টে। সেটার রিভিউ ই আপনার সাথে শেয়ার করতে চলেছি আজকের পোষ্টে। আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে।


কিছুদিন আগে ভীষণ মন খারাপ ছিলো। তখন খুব কাছের এক বান্ধুবী প্রস্তাব দিলো দেখা করার৷ বান্ধুবী বলতে আমার এক্স কলিগ যিনি কিনা এখন আর কলিগ হিসেবে নেই, বরং বেশ ভালো বান্ধুবীতে পরিণত হয়েছেন। তো আমার মন খারাপের কথা শুনে জোর করলো দেখা করার। চলে গেলাম আগের অফিস এরিয়ায়, বনানীতে। ওখানে আমাদের পছন্দের রেস্টুরেন্ট বেশ অনেক কয়েকটা থাকলেও আমার ভীড়ে বসতে ইচ্ছে করছিলো না। তাই ফাঁকা এনভায়রনমেন্ট এর প্রেফারেন্স নিয়ে " The KFD Express " নামের একটি রেস্টুরেন্টে বসার সিদ্ধান্ত নিলাম। এই রেস্টুরেন্টে আগেও এসেছিলাম। তাই এটার এনভায়রনমেন্ট সম্পর্কে আগে থেকেই জানা ছিলো।



আমরা অর্ডার করেছিলাম সি উইড এবং ফিস মোমো। দুটোই আমার কাছে বেশ মজার লেগেছে৷ অবশ্য মন খারাপের সময়ে যদি কেউ ডেকে নিয়ে মনের কথা জানতে চায়, সাথে খাবার খাওয়ায়, সে খাবার তো এমনিতেই মজা লাগতে বাধ্য বলেই আমার মনে হয়! রেস্টুরেন্টটির সিটিং এরেঞ্জমেন্ট বেশ ভালোই। আশেপাশে অনেকগুলো ভার্সিটি থাকায় বিশেষ কিছু সময়ে রেস্টুরেন্টটি ভার্সিটির তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে থাকে৷ অনেকে একসাথে স্টাডিও করে৷ এদের একটা জিনিস বেশ ভালো লেগেছে, একটা কর্ণার ওরা রেখেছে রিয়েল ফীড ব্যাকের জন্য। অনেকেই সেই কর্ণারে রেস্টুরেন্টটির সম্পর্কে তাদের মতামত লিখে রেখে যান। অনেকে আবার নিজেদের বন্ধুদের স্মৃতি রেখে যান কাগজের টুকরোয়। এই বিষয় টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। কারণ রেস্টুরেন্টে এমন কর্ণারের আইডিয়া টা বেশ ইউনিক ই লেগেছে আমার।



তো যাই হোক, দুজনে মিলে বেশ দারুণ কিছু সময় কাটয়েছি ওখানে। খাবার খেয়ে, আড্ডা দিয়ে মন মেজাজ বেশ অনেকটাই ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিলো। দিনটি তাই মনের মাঝে বেশ ভালোই দাগ কেটেছে। আসলে আমাদের জীবনে অনেক পরিমাণ বন্ধু না থাকলেও, এমন হাতেগোণা কিছু বন্ধু, যাদেরকে আপনার বিপদে বা মন খারাপের দিনে পাশে পাবেন, এমন কিছু বন্ধু থাকলেই জীবন অনেক সুন্দর মনে হতে বাধ্য।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 14 days ago 

প্রথমেই বলি রেস্টুরেন্টের নামটি কিন্তু বেশ সুন্দর। আপনার এক্স কলিগ কিংবা বান্ধবীর সাথে চমৎকার একটি জায়গায় খাবার উপভোগ করলেন। খাবার গুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে। আবার খাওয়ার পর একটি কর্নারের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। সবশেষে আপনার মন ফুরফুরে হয়েছিল জেনে আরো ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 13 days ago 

হ্যা ভাই। ওই কর্ণারটা আমারো বেশ ইউনিক লেগেছে সত্যিই।

 13 days ago 

সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অচেনা একটা রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার আনন্দঘন ও মুহূর্তটা। আসলে মন মানসিকতা খারাপ থাকলে প্রিয়জনদের সাথে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া খেতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে মন ভালো করা যায়। আর এতে অন্যরকম আনন্দ পাওয়া সম্ভব।

 13 days ago 

মন খারাপের সময়ে প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটাতে পারলে মন কিছুটা আনন্দে ভরে উঠে। তাই দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি সেদিন।

 13 days ago 

মন খারাপের সময় বাহিরে কোথাও গিয়ে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি মন খারাপের বিষয়গুলো কেউ নিজের থেকে জানার চেষ্টা করে তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার মন খারাপ দেখে আপনার ফ্রেন্ডের সাথে রেস্টুরেন্টে এসে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন, আর খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই মন খারাপটা চলে গিয়েছিল ফ্রেন্ডের সাথে এত ভালো সময় কাটানোর পর। আপনাদের দুজনের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অসম্ভব ভালো।

 13 days ago 

হ্যা আপু। আসলেই মন খারাপ টা চলে গিয়েছিলো। এবং দারুণ সময় কাটিয়েছি দুজন মিলে।

 13 days ago 

আমার তো যখনই মন খারাপ হয় তখনই আমি খাওয়া-দাওয়া করার জন্য বাহিরে বের হয়ে যাই। না হলে ঘুরাঘুরি করার জন্য বের হয়ে যাই। কারণ খাওয়া দাওয়া অথবা ঘুরাঘুরি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। যেহেতু আপনি আপনার ফ্রেন্ডের সাথে বাহিরে এসেছিলেন, তাও আবার ওনার জোরাজুরিতে। তাই একসাথে আড্ডা দিয়ে এমনকি খাওয়া দাওয়া গল্প করে মনটা নিশ্চয়ই ভালো হয়ে গিয়েছে। আসলে মানুষের জীবনে বেশি পরিমাণ বন্ধু থাকার প্রয়োজন হয় না। হাতে গোনা এক দুইটা প্রকৃত বন্ধু থাকলেই আমি মনে করি যথেষ্ট।

 13 days ago 

সবসময় আসলে নিজের থেকে একা একা বাইরে যেতেও ইচ্ছে করে না আমার। তাই বান্ধুবীর আস্কারায় ই গিয়েছিলাম। গিয়ে মন ভালো হয়ে গেছে। আর আসলে এমন ১/২ টা প্রকৃত বন্ধুই জীবনে যথেষ্ট।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.13
JST 0.032
BTC 60947.53
ETH 2913.40
USDT 1.00
SBD 3.56