বেশ কয়েকটা ম্যাচের খেলা দেখলাম। এই খেলা গুলোর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইন্টার মিয়ামি গোল খেয়ে যাই। এই বিষয়টা আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছে। কারণ আজকের ম্যাচে মাত্র ৩৭ সেকেন্ডে প্রথম গোল করেন নিউ ইংল্যান্ডের প্লেয়ার। বিষয়টা সত্যি আমাকে হতবাক করেছে। সেন্টার হওয়ার পরে বল সামনে বাড়িয়ে দিতেই গোল। গোলকিপার এবং প্লেয়াররা যেন হতবাক হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে আমি গোলকিপারকে দোষারোপ করব। কারণ এভাবে এই বলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা গোলকিপার কখনোই উচিত নয়।

যেহেতু প্রথম মিনিটের মধ্যেই গোল সেহেতু খেলাটা জমজমাট হবে এটাই স্বাভাবিক। একটা দল ভালো হোক বা খারাপ হোক যেকোনো সময় একটা গোল খেয়ে গেলে মানসিকভাবে একটু দমে যাই। তবে বলতেই হয়, যে দলে মেসি থাকে সেই দলের যে কোন সময় স্কোর করবে এটাই স্বাভাবিক। দুই দল বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। ডি বক্সের মধ্যে বল পায় মেসি আর বল পাওয়াতেই ঠিকই কাজের কাজটি তিনি করে দেন। আর এই গোলের সুবাদে হাফ টাইমের আগেই এক এক গোলে সমতা আসে।

এই খেলাটি প্রথম হাফের থেকেও দ্বিতীয় হাফে খুবই বেশি জমজমাট হয়েছে। দুই দল একে অপরের বেশ আক্রমণে গিয়েছিল। দ্বিতীয় হাফে ৬৭ মিনিটের মাথায় মেসি আবারও গোল করেন। এই গোলের সুবাদে তিনি দুইটা গোল করেন এই ম্যাচে। অসাধারণ চোখ জোড়ানো একটি গোল করেন। ইনজুরি থেকে এসে এমন একটা খেলা করবে এটা সবার কাছে অপ্রত্যাশিত। যেহেতু নাম তার মেসি সেহেতু তিনি ভালো খেলবে এটাই স্বাভাবিক। এই গোলে বিনিময়ে তারা ২-১ গোলে এগিয়ে গেল।

শেষের দিকে মায়ামি দুর্দান্ত খেলেছে। যার জন্য বারবার আক্রমণ করেছে তারা। আর আক্রমণে ফলশ্রুতিতে তারা তাদের থেকেও বেশটা এগিয়েই আছে। খেলা প্রায় ৭০ মিনিট অতিক্রম করেছে। ঠিক এমন সময় ডি বক্সের মধ্যে বল পায় মেসি আবারো। তিনি যখন গোলের শর্ট করেন তখন গোলকিপার বলটা ঠেকিয়ে দেন। অসাধারণ একটি সেভ দেয় নিউ ইংল্যান্ডের গোলকিপার। এই গোলটি যদি তিনি করতে পারতেন তাহলে আজকের এই ম্যাচে তিনি হ্যাটট্রিক করতেন। আর এটাই হয়তোবা প্রথম হ্যাটট্রিক হতো এই ক্লাবের হয়ে। ভাগ্যটা তার সহায় ছিল না তাই এত চমৎকার একটা শর্ট করার শর্তেও গোলকিপার ঠেকিয়ে দিয়েছিল।

মেসির যে শট গোলকিপার ঠেকিয়ে দেয় সে বলটি পুনরায় আবারও ইন্টারমিয়ামির আরেকজন প্লেয়ারের কাছে যায়। তিনি শর্ট দিতেই গোল হয়ে যান। এবার আর ঠেকিয়ে দিতে পারেন নাই নিউ ইংল্যান্ডের গোলকিপার। কারণ বাম দিকের বার পোস্টের একেবারেই ফাঁকা ছিল। একবার যে বলটি ঠেকিয়ে আসলো আবারো পুনরায় ওই বল ঠেকানো অনেক কঠিন যে কোন গোলকিপারের জন্য। তাই খুব সহজেই সে গোলটি করতে পারে। আর এই গোলের বিনিময়ে তিন এক গোলে এগিয়ে যায় দলটি। যদিও মেসি গোল করতে পারেনি তবে এই গোলের অবদান তারই ছিল। শেষ তিন গোলের মধ্যে তিনটি গোলের অবদানই তার রয়েছে।

একের পর এক আক্রমণ করেই চলেছে। একদিকে দুই গোলে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও তার আক্রমণ থামিয়ে রাখে নাই। খেলা যখন ৮৮ মিনিট চলছে ঠিক তখনই মেসি আবারো বল পাই। এই বলটি খুব সুন্দর মতো করে লুইস সুয়ারেজের কাছে বলটি দেন। বলটি পাওয়ার পরে গোল করতে একটুও ভুল করেননি। অসাধারণ ফ্লিক দিয়ে গোল করে দেন। আর এই গোলের সুবাদে তারা চার এক গোলে এগিয়ে যায়। এই গোলেও অ্যাসিস্ট ছিল লিওনেল মেসি। অর্থাৎ বলতেই হয় আজকের এই ম্যাচের চারটি গোল হয়েছে এবং এই চারটি গোলেরই অবদান রয়েছে তার। ইনজুরি থেকে উঠে এসে এমন খেলাটা সত্যিই সবার কাছে অপ্রত্যাশিত। তবে নাম যখন মেসি তখন এমন খেলবে এটাও স্বাভাবিক।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।