১০ ওভারের আগেই বিনা উইকেটে এতো বড়ো রান চেজ!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল লখনৌ আর হায়দ্রাবাদ এর মধ্যে ম্যাচটি ছিল। ম্যাচটি এক কোথায় ঐতিহাসিক ছিল, যেটা হায়দ্রাবাদ গড়েছিল। তবে গতকাল ম্যাচটি হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এই ম্যাচটিতে লখনৌ টসে জিতে আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাদের এইভাবে ধস নামবে সেটা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। তবে ওপেনিং শুরুটা কিন্তু করেছিল ভালোই, রাহুল আর কুইন্টন খেলছিল ভালোই। তবে কুইন্টন এর ক্যাচটা খুবই মর্মান্তিক ছিল। আসলে ও মেরেছিলো ঠিকই, কিন্তু আসলে ওখানে ক্যাচটা ওইভাবে হবে সেটা না দর্শকরা ভেবেছিলো না ও ভেবেছিলো। ক্যাচটা খুবই কঠিন ছিল এক কোথায়, উড়ন্ত ক্যাচ ধরেছে অর্থাৎ ক্যাচ ধরে আবার মাঠের বাইরে থেকে এসে তারপর পুনরায় ধরেছে।
তবে রাহুল খেলছিল পরে খারাপ না, কিন্তু পার্টনারশীপ পাচ্ছিলো না কারো সাথে। করুনাল মাঝে এসে একটু রাহুলের সাথে পার্টনারশীপ গড়তে সহায়তা করে ঠিকই, কিন্তু রান আউট হয়ে যায়। এখানে বল থ্রো তে আউট হলে কিছুই করার থাকে না, কারণ ডাইরেক্ট হিট-এ ম্যাক্সিমাম ৯০% আউট হওয়ার চাঞ্জ থেকেই যায়। তবে সব থেকে আরো একটা ফ্লাইং ক্যাচ ছিল stoinis এর, দুর্দান্ত ক্যাচ। এইরকম ক্যাচ সাধারণত মাটি স্পর্শ হয়ে যায়। নিঁখুত ক্যাচগুলো ধরেছে হায়দ্রাবাদ এর ফিল্ডাররা। তবে লখনৌ এর রানের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ ছিল এক্ষেত্রে, রান রেট খুবই নিম্নমানের ছিল যখন ১৫ ওভার রানিং, ১০০ রানও হয়নি। খুব খারাপ ভাবে হারবে এটা ভেবেই নেওয়া যাচ্ছিলো, কিন্তু অন্তিম পর্যায়ে দারুন পার্টনারশীপ গড়ে তোলে নিকোলাস পুরান আর আয়ুষ। এরা দুইজনেই রানটাকে লাস্ট ৫ ওভারে ১৬৫ তে নিয়ে যায়।
লাস্টে এদের একটা অসাধারণ পারফরমেঞ্চ ছিল, যেটা দর্শকদের মাঝে বা টিমের মাঝে একটা সতেজতা ফিরিয়ে এনেছিল, তাছাড়া একদম সত্যি বলতে মরা মরা অবস্থা ছিল তাদের। তবে যাইহোক, মোটামুটি একটা লড়াই করার মতো বড়ো রানের টার্গেট দিতে পেরেছিলো। কিন্তু এখানে হায়দ্রাবাদ তাদের সাথে একপ্রকার ছেলেখেলা করেছে, কারণ এই রান চেজ যে এইভাবে হবে সেটা কি কেউ ভেবেছিলো। একটা রেকর্ড গড়েছে না, এর আগে মনে হয় না এতো কম সময়ে কেউ এই রান চেজ করেছে। পাওয়ার প্লে ওভারেই তো রান চেজ হয়ে গেলো বলতে গেলে। ৬ ওভারে ১০৭ রান, কি মার মেরেছে ওপেনে দুইজন। ওভারে যদি ১৬-১৭ করে চলতে থাকে, তাহলে আর কতক্ষন।
একপ্রকার ক্রিজে আসতেই ৬ আর ৪, সিঙ্গেল খুবই কম বলা যায়। ৪ আর ৬ এর বন্যা বয়েছে তাদের ব্যাট থেকে। ১০ ওভারও লাগেনি এই রান চেজ করতে। তাও বিনা উইকেটে রান চেজ, সত্যি একটা ঐতিহাসিক কান্ড ঘটিয়েছে গতকালকের ম্যাচে। এখন তাদের এই ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো, ৩০০ রানও চেজ হয়ে যেত। সত্যি বলতে আমি অনেকদিন থেকে বরাবরই ক্রিকেট খেলা দেখছি আর দেখি, কিন্তু টি২০ তে আমি হয়তো এইরকম ঘটনা প্রথম দেখলাম। বিনা উইকেটে রান চেজ অনেক দেখেছি, কিন্তু ৯ ওভারে একটা অসম্ভব ব্যাপারকে সম্ভব করে দেখালো। যাইহোক, খেলাটা মোটামুটি বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল এক্ষেত্রে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও এটাই চিন্তা করছিলাম, রানের যে গতি ছিল যদি ৩০০ রানের টার্গেট থাকতো তা বোধ হয় চেজ করে ফেলত। দাদা পুরো টুর্নামেন্টে হায়দ্রাবাদের এই দুই ওপেনার মনে হয় সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।
সত্যি বলতে দাদা এবারের আইপিএলে শুরু থেকে চমক দেখিয়ে আসছে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ। ঠিক তেমনি গত রাত্রে আরও একটা চমক আমরা দেখতে পেয়েছি। কিন্তু গতরাত্রের ম্যাচটি ছিল সত্যি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। এতো বড় একটি লক্ষ্য যে মাত্র ১০ ওভারের নিচেই বিনা উইকেটে পূর্ণ করবে এটা নিঃসন্দেহে কেউ কখনোই চিন্তা করেনি। পুরো অসম্ভবকে সম্ভব করেছে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ। হয়তো আগামীতে তারাই ভালো কিছু করতে পারে।
অভিষেক শর্মা ছেলেটা খুবই ভালো খেলে। বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পাওয়ার মতো খেলোয়ার ছিল সে। কিন্তু কপাল টা খারাপ। আমি চিন্তা করছি এই হায়দ্রাবাদ শুরু করছে কী। অতো রানের টার্গেট বিনা উইকেটে ১০ ওভারের মধ্যে শেষ করে দিল। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছে দুজন।
দাদা এই ম্যাচে অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড এমন চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করেছে যে,ক্রিকেট বিশ্ব একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছে। যদিও এই ম্যাচটি আমার লাইভ দেখা হয়নি। তবে যারা এই ম্যাচটি লাইভ দেখেছে,তাদের কাছে মনে হয়েছিল যে হাইলাইটস দেখছে। আমার তো মনে হচ্ছে ৩৫০ টার্গেট হলেও তারা সেদিন চেজ করতে পারতো। এককথায় তারা দুজন দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ এতো চমৎকারভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।