এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ১৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তবে এইগুলো কিছুটা এলোমেলো আলোকচিত্র হবে। এর আগে ১৫ টি পর্বের মতো শেয়ার করেছিলাম। অনেকদিন এলোমেলো ফোটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করা হয় না, আজকে ভাবলাম কিছুটা শেয়ার করি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আলোকচিত্রগুলি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিগুলো তুলেছিলাম আমাদের এখানে শিব রাত্রির সময়ে। গত মাসের দিকে হয়েছিল শিব রাত্রি। এখানে প্রতিবছরই শিব রাত্রির সময়ে অনেক সুন্দরভাবে সাজায় চারিপাশটা। তাছাড়া এখানে সন্ধ্যার দিকে গিয়ে সময় কাটাতেও একটা ভালো লাগা কাজ করে মনের দিক থেকে। এখানে আগে প্রায় দিন লাইটিং এর ব্যবস্থা করলেও, এখন আর করে না, একমাত্র এই শিবরাত্রির সময়ে একটু লাইটিং করে। লাইটিংগুলো কত সুন্দর লাগছে দেখুন আর সেই সাথে শিবের মাথার জটায়ু দিয়ে জলের ঝর্ণা ঝরছে। এই দৃশ্যগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে। এছাড়া পাশে একটা লাইটিং দিয়ে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো আছে, এটা কিন্তু একটা মন্দির, এখানেই সবাই শিবের মাথায় জল ঢালতে যায় এই শিব রাত্রির সময়ে। যাইহোক, ওই জায়গাটাতে কিছু সময় অতিবাহিত করার সময়ে এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৮ মার্চ ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম একটি রেস্টুরেন্ট থেকে। এটা আসলে একধরণের mocktail জাতীয়, তবে এটি ভিন্ন স্বাদের একদম। এর নাম হলো "ট্রিপল টাওয়ার"। এই ট্রিপল টাওয়ার নাম দেওয়ার কারণ হলো, এতে ফ্লেভার তিন ধরণের। আপনারা পুরোটা দেখলে বুঝতে পারবেন তিনটি কালার আছে এখানে, যার একদম উপরে আইসক্রিম, মাঝে অরেঞ্জ এবং শেষে কাঁচা আম , তবে এটি মশলা যুক্ত। খেতে একটা আলাদা টেস্ট ছিল। আমি এর আগে এই রকম mocktail খাইনি। আর এইটা অনেক বড়ো, একার পক্ষে খেয়ে পারাও মুশকিল। এর একটার দাম ৩৪০ টাকার মতো। যাইহোক, একটা আলাদা রকমের স্বাদ গ্রহণ করেছিলাম আর সেই সাথে তার আলোকচিত্রটি তুলে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১২ মার্চ ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম বসন্ত উৎসবের সময়ে। বসন্ত উৎসবের দিনে এইরকম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাচ, গান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বসন্ত উৎসবের দিন সন্ধ্যাবেলায় মাঠের দিকে গিয়েছিলাম এবং তখন দেখলাম, সবাই রং খেলায় মেতে উঠেছে এবং এই সাথে সবাই মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো করছে। যদিও আমি যখন গিয়েছিলাম তখন প্রায় শেষের পথে হয়ে গিয়েছিলো। এখানে বেশিরভাগই দেখেছিলাম বাচ্চারা নৃত্য করছিলো। তবে এই বসন্ত উৎসবের দিনে সবার মাঝে এই রং মাখামাখি নিয়ে বেশ আনন্দ হয়। কেউ যদি গায়ে জোর করে মাখিয়েও দেয়, তাও এই বসন্তের সময়ে কিছু বলা যাবে না। যাইহোক, সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন গান শুনলাম আর নৃত্য দেখলাম এবং সেই সাথে এই আলোকচিত্রগুলি তুলে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৩ মার্চ ২০২৪
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম একটি মন্দিরের ভিতর থেকে। মন্দিরের ভিতরে ঘুরতে ঘুরতে একটি জায়গায় দেখলাম ষাঁড়ের একটা মূর্তি তৈরি করে রেখেছিলো। যদিও একটি না, অন্য পাশে একইভাবে আরেকটা তৈরি করেও রাখা আছে। তবে এইগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। মন্দিরের ভিতরে এইরকম দৃশ্যগুলো থাকলে তার পাশে গিয়ে ছবি তোলার ভিড়ের কমতি হয় না, ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া মুশকিল হয়ে যায় তাদের জন্য। একজন সরে যায় তো আরেকজন এসে হাজির হয়ে যায় হা হা। এই ষাঁড়ের মূর্তিটিকে সোনাদানা দিয়ে সাজানো মনে হচ্ছে দেখে, তবে এইগুলো আসলে কারুকার্যের মাধ্যমে ডিজাইন করা আর এইগুলো দূরের থেকে বা ছবিতে দেখে অনেকটা অরিজিনালের মতোই দেখতে লাগে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১ মার্চ ২০২৪
Photo by @winkles
এই ছবিটি তুলেছিলাম একটু হনুমান মন্দির থেকে। আসলে এই মন্দিরটি এমন জায়গায় যেখানে যাওয়া হয়ে ওঠে না, বললেই চলে। এই মন্দিরটিতে আমার এর আগে অনেকবার যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে একদিন গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম আর বাড়ির দিকে ফেরার পথে সন্ধ্যার সময়ে ভাবলাম যাচ্ছি যখন পাশ দিয়ে, তখন একটু মন্দিরটির ভিতরে গিয়ে দেখে আসি। এরপর বাইকটা পার্কিং করে ভিতরে গিয়ে দেখলাম সবাই কীর্তন গাইছে। এখানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি, হনুমানের মূর্তি সহ এইভাবে লাইন দিয়ে রাখা আছে। এর ভিতরে ভালো বসার জায়গাও আছে, আর দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিলো সবকিছু। এর ভিতরে আসলে বেশি কিছু তুলতে পারিনি, ভিড় ছিল সামনের দিকে অনেক। যাইহোক, সেখানে কিছুক্ষন বসে ছিলাম আর সেই ফাঁকে একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।আপনি বেশকিছু আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন। প্রতিটির সুন্দর বর্ননায় আরো বেশী ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন রঙের মকটেল টা দেখে আমি সত্যি অবাক হয়েছি। এইরকম মকটেল আগে দেখিনি। যার উপরে আইসক্রিম মাঝে অরেঞ্জ এবং শেষে কাঁচা আমের স্বাদ এককথায় দারুণ। দেখতেও বেশ চমৎকার লাগছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি টা সুন্দর করেছেন দাদা। পাশাপাশি মন্দিরের সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
প্রথমেই বলব ভাই, সবগুলো ছবি বেশ ভালো তুলেছেন। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো। ট্রিপল টাওয়ার মকটেল খাওয়ার কিন্তু একটু আগ্রহ জেগেছে ভাই।
সন্ধ্যার পর এমন রং বেরঙের লাইটিং দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে শিবরাত্রির সময় ঘুরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা। ট্রিপল টাওয়ার মকটেল দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না দাদা। এরকম মকটেল খাওয়ার সুযোগ হয়নি এখনো। দাদা ষাঁড়ের মূর্তিটিকে দেখে সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে অরিজিনাল কোনো ষাঁড় হবে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।