বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদল ভাইয়ের চিরচেনা মুরগির দোকান।।😃😃

in Steem For Tradition9 months ago


হ্যালো বন্ধুরা

আসসালামু আলাইকুম। কি অবস্থা সবার? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল বাদল ভাইদের দোকান নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকান

IMG_20230910_162609.jpg


মুরগির মাংস কমবেশি সবার অনেক প্রিয় হয়ে থাকে। কারণ এই দেশি মুরগি ছোট থেকে বড় হতে প্রায় তিন মাসের মত সময় লাগে এবং এই তিন মাসে সে পরিপক্ক হয়ে ওঠে। ঙসময় বেশি লাগে বিধায় খেতে অন্যান্য মুরগির চেয়েও একটু বেশি ভালো লাগে ‌। তাছাড়া অসুখ-বিসুখ হলে সকল ডাক্তারি এই দেশি মুরগি সাজেস্ট করে থাকে কারণ এই দেশে মুরগিতে খুব কমই ভেজাল পাওয়া যায়। আবার যদি সেই দেশি মুরগি গ্রামের পালন করা হয় তাহলে তো একেবারেই ভালো হয়ে থাকে। গ্রামের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করে থেকেই মুরগিগুলো তাই সব প্রাকৃতিক খাবার খায় বলে পুষ্টিগুণ একটু বেশি হয়ে থাকে।


IMG20230905160527.jpgIMG20230905160502.jpg
IMG20230905160510.jpg

আপনারা সবাই হয়তো পার্বতীপুর বাস টার্মিনারের সামনে ছোট্ট একটি দেশি মুরগির দোকান এই বাদল ভাইয়ের। আশপাশ থেকে সবাই কমবেশি এই দোকান থেকেই মুরগি নিয়ে যায় কারণ নতুন বাজারের ভেতরে একটু ভিড় হওয়ায় আর এখান থেকে ভাড়া একটু বেশি হবে সবাই কম বেশি এখান থেকেই মুরগি নিয়ে যায়। আমিও প্রায় এই দোকান থেকে মুরগি নিয়ে আসি। দেশি মুরগির পাশাপাশি এই দোকানে কিছু দেশি মুরগির মত কক মুরগি রয়েছে সেগুলো স্বাদ মোটামুটি ভালো। তবে দেশি মুরগির মতো স্বাদ হবে না।


IMG20230905160519.jpgIMG20230905160533.jpg
IMG20230905160515.jpg

যাই হোক বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা দেশি মুরগির সাথে এই বিদেশী জাতের মুরগিগুলো ঢুকিয়ে দেয় কারণ সেগুলো দেখতে প্রায় দেশের মুরগির মতো। মানুষের কথা কি বলবো আমি একদিন কিনতে গিয়ে এই কক মুরগিগুলো বাড়িতে নিয়ে আসছিলাম কারণ বাইরে থেকে দেখতে তেমন কোন বোঝার উপায় নেই এটা দেশি মুরগি কিনা। তবে পা দেখে মাঝে মাঝে মুরগি চেনা যায়। যদি মুরগি গুলো র পা কালো হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি দেখে যাদের মুরগি আর যদি পা কালো না হয় সাদা থাকে তাহলে অনায়াসে বুঝে যেতে হবে এটি বিদেশি জাতের কক মুরগি।


IMG20230905160447.jpg

আমি দুদিন আগে গিয়েছিলাম কিছু কাজ করার জন্য কিন্তু এই কাজটা না হয় বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকানের সামনে গিয়ে কিছু সময় দাঁড়াই। আর তার সাথে কথা বলতে থাকি আর দুইজনে মুরগির দাম নিয়ে কিছু কথা বলি। তবে এ বাদল ভাইয়ের দোকানে মুরগি ২০/২৫ টাকা একটু বেশি দিয়ে কিনতে হয়। কারণ তিনি সেগুলো গ্রামে যে লোকগুলো মুরগি উঠিয়ে আনে তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে তাই দাম একটু বেশি না এখানে। তবুও মানুষ ভালো মুরগী পায় বলে এখান থেকেই মুরগি কিনে থাকে।

ধন্যবাদ সবাইকে আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি

Sort:  
 9 months ago 

বাদল ভাইয়ের মুরগী দোকান নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। দেশি মুরগী বড় হতে সময় লাগে প্রায় ২ থেকে ৩ মাসের মতো। তবে দেশি মুরগীর মাংসের স্বাদ অন্যরকম হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু অসাধু মুরগী ব্যবসায়ী তারা লেয়ার মুরগীকে দেশি মুরগী বলে চালিয়ে দেয় এটা কিন্তু ঠিক না। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল।

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 

আপনি একজন মুরগি ব্যবসায়ী নিয়ে বিশেষ একটি পোস্ট তৈরি করেছেন।এই মুরগির দোকানটি টার্মিনাল অবস্থিত। আমি এই দোকানে মাঝে মাঝে মুরগি কিনতে যাই। এই দোকানে বেশ ভালো মানের মুরগি পাওয়া যায়। এখানে দেশি মুরগি পাওয়া যায়। মুরগি আমাদের মানব শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। মুরগির মাংস প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। আমিষ আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে মুরগির মাংস ডাক্তাররা সবসময় খেতে বলে। কারণ এই মাংসে চর্বি কম থাকে মুরগির মাংস সাদা হওয়ার কারণে এ মাংসে ক্ষতিকর কোন কিছু থাকে না যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই ভালো। মুরগির মাংস আমরা বাড়িতে বেশি খাই কারণ অন্যান্য মাংসগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি। আমরা মাঝে মাঝে পিকনিক খাওয়ার জন্য মুরগির মাংস কিনে নিয়ে আসি টার্মিনাল থেকে। টার্মিনালে বেশ কয়েকজন রয়েছে তবে আমরা পিকনিক খেলে বয়লার মুরগি দিয়ে বেশি খাই। বয়লার মুরগির দামে কম হয় এই মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। আশা করি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই ব্যবসায়ীর অনেক উপকার হয়েছে আমরা সবাই চেষ্টা করব টার্মিনাল থেকে এনার দোকান থেকে মুরগি কিনে খাওয়ার। আশা করি অল্প লাভে মুরগি বিক্রি করবেন আমাদের কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 

বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকান নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। শুনে অবাক হলাম যে বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকানে দেশী মুরগি পাওয়া যায় । এই ভেজালের যুগে অরজিনাল খুঁজে পাওয়া মুসকিল, সোনালি মুরগিকে অনেকেই দেশি মুরগি বলে চালিয়ে দেয়। দেশি মুরগির মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু। মাঝেমধ্যে দেশি মুরগি খাওয়া হয়। আমাদের বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করা হয়। বাড়িতে গেলেই দেশি মুরগি খাওয়া হয়। এতটাই সুস্বাদু যে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। দেশি মুরগির মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোগীর খাদ্য তালিকায় দেশি মুরগীর মাংস রাখাটা জুরুরি।ছোট বাচ্চাদের মুরগির কলিজা খাওয়াইলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য দেশি মুরগি চেনাটা মুশকিল হয়ে গেছে। আর দেশি মুরগির তুলনামূলক দাম অনেক বেশি থাকায়, সব শ্রেণীর মানুষ দেশি মুরগি কিনতে পারে না। দরিদ্র মানুষের ভরসা হচ্ছে বয়লার মুরগি। তবে বয়লার মুরগি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 

পার্বতীপুরে বাস টার্মিনালে অবস্থিত এই বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকান নিয়ে আপনি চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি এই দোকান থেকে মুরগি নেন জেনে ভালই লাগলো। বর্তমানে বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে মুরগির দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। বিশেষ করে দেশি মুরগিগুলো কোন কোন বাজারে ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। ভিন্ন রকম একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। তবে পার্বতীপুরের বাস টার্মিনাল অবস্থায় মুরগির দোকানটি নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 

বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকান সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে এরকম ব্যবসায়ী এখন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তারা এরকম ব্যবসার মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেছে। এবং আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের দেশের মানুষরা এই দেশি মুরগি খেতে অনেক বেশি ভালবাসে এবং আমার একান্ত অনেক পছন্দের এই দেশি মুরগির মাংস খেতে অনেক মজার বটে। এবং এই মুরগিগুলো গড়ে উঠতে তিন মাস সময় লাগে এবং এই তিন মাসের মধ্যে তারা খাবার একদম উপযোগী হয়ে ওঠে। এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায় এই দেশি মুরগি এবং ছোট মুরগি থেকে। কারণটা হলো যখন কেউ রোগে আক্রান্ত হয় ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার তখন ছোট দেশি মুরগি খেতে বলে কারণ এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

ধন্যবাদ

 9 months ago 

বাদল ভাইয়ের মুরগির দোকান সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। প্রতিটি বাজারে এরকম পরিচিত এক দুইটি মুরগির দোকান থেকেই যায়। আমরা বাজারে গেলে প্রতিনিয়ত তাদের কাছ থেকেই মুরগি কিনে থাকি। আপনি ঠিকই বলেছেন মুরগির মাংস কমবেশি সবারই অনেক প্রিয়। তবে আমার মুরগির রোস্ট বেশি প্রিয়। ভালো জিনিস একটু দাম বেশি দিয়ে কিনলেও সমস্যা নেই। কারণ এখন টাকা দিয়েও ভালো জিনিস সহজে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য

 9 months ago 

ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67599.37
ETH 3782.24
USDT 1.00
SBD 3.49