||প্রায় হারিয়ে গেছে একসময়ের জনপ্রিয় যানবাহন টেম্পু||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
যাতায়াতের জন্য আমাদের দেশে বিভিন্ন রকম যানবাহন রয়েছে। বাস, ট্রেন,লঞ্চ,প্রাইভেট কার,সিএনজি, অটো ইত্যাদি। বর্তমানে কম দূরত্বে যাতায়াতের জন্য অটো এবং সিএনজি মানুষের খুবই পছন্দের। আজ থেকে ২০ বছর আগে এই যানবাহন গুলো ছিল না। বর্তমান প্রজন্মের হয়তো অনেকেই টেম্পু চিনবে না। এটি ছিল একসময়ের জনপ্রিয় একটি যানবাহন। সিএনজি যখন বাংলাদেশের সব জেলায় চলাচল শুরু করলো তারপর থেকেই এই টেম্পু জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করল। তারপর ব্যাটারি চালিত অটো আসার পর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় টেম্পু।
৯০ দশকের পুরো ঢাকা শহর প্রায় টেম্পুর দখলেই ছিল। টেম্পু বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। পাহাড়ি এলাকার মানুষের কাছে এই টেম্পু ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই টেম্পুতে ১০ জন যাত্রী বসতে পারে। সামনে দুইজন এবং পিছনে আটজন বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এক সময় দেখেছি এগুলো বিয়ের জন্য ভাড়া করা হতো। সে সময় কোন শহরেই এত যানজট ছিল না। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে যানজট রয়েছে। যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা এবং কিছু জায়গায় সিএনজি।
হঠাৎ করে যখন রাস্তায় একটা টেম্পু চোখে পড়ে তখন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। দু-একটা টেম্পু মাঝে মাঝে দেখা যায় এগুলো মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়। আপনারা দুটি টেম্পু দেখতে পাচ্ছেন একটিতে মুরগি আনা নেওয়া করা হয়। মুরগির খামার থেকে মুরগি বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয় এই টেম্পুর মাধ্যমে। আরেকটি টেম্পু দিয়ে মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করা হয়।
এই টেম্পু দুটি বগুড়া শহরের আশেপাশে মাঝে মাঝে দেখা যায়। আমার যতটুকু মনে পড়ে আমাদের বাড়ি থেকে উপজেলা শহরের দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এই দূরত্বের ভাড়া সর্বনিম্ন আমি ৬ টাকা দেখেছি। শীতকালে যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম, তখন মাঝে মাঝে বিয়ের দাওয়াতে যেতাম। বেশ কয়েকবার আমি এরকম টেম্পুতে করে গিয়েছিলাম আর বরের জন্য থাকতো প্রাইভেট কার।
আর কিছুদিন পরে হয়তো এই টেম্পু পুরোপুরি হারিয়ে যাবে। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে কিন্তু এর অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমার বেড়ে ওঠা যেহেতু ৯০ দশক থেকে তাই তখনকার আর এখনকার সবকিছুর মধ্যে অনেক পার্থক্য। তুলনা করলে তখনকার জীবন-যাপন অনেক ভাল ছিল।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ৯০ দশকের পুরো সময়টাই যেকোনো রাস্তা টেম্পুর দখলে ছিল। আমি ছোটবেলায় নানুবাড়ি যাওয়ার সময় সেই রাস্তায় টেম্পু ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচল করত বলে আমার মনে পড়ে না। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাগুলো তো এখন টেম্পু খুবই কম দেখা যায়। রাস্তায় এখন সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অটো। পুরনো এই যানবাহন টি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1701850038614503704
অনেক বছর থেকে আমি এই টেম্পু রাস্তায় দেখতে পাই না। টেম্পু আগে রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত। আগে টেম্পু দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ যাতায়াত করত। এখন সেই টেম্পু হারিয়ে গিয়েছে। সেই টেম্পু গুলো আসলে কি হলো সেটি বুঝা গেল না। এখন সব বিদ্যুৎ চালিত অটো দিয়ে রাস্তা ভরা। আগে এই টেম্পু গুলো তেল দিয়ে চলতো। এই টেম্পু গুলো যখন রাস্তায় চলতো তখন সুন্দর একটি শব্দ হতো। এই টেম্পু গুলো ঢাকা শহরে রাস্তায় বেশি দেখা যেত তখন এমন সিএনজি এবং অটো রাস্তায় ছিল না। তখন মানুষের একমাত্র যোগাযোগের উপায় ছিল টেম্পু। তবে টেম্পু যেমন ভাল ছিল এর একটি সমস্যা ছিল এগুলো যে কোন সময় উল্টে যেত। রাস্তায় একটু যদি হেলে যায় তাহলে যাত্রীসহ এগুলো রাস্তায় উল্টে পড়ে থাকত। আগে যারা এই টেম্পু চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো তারা এখন সেই টেম্পু চালানো বাদ দিয়ে এখন তারা অটো রিক্সা এবং সিএনজি চালায়। কারণ তেল দিয়ে টেম্পু চালাতে গেলে অনেক টাকার দরকার হতো কিন্তু সিএনজি এবং অটোরিকশা চালাতে তেমন টাকার প্রয়োজন হয় না। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম তেলের থেকে একটু কম আছে। সেজন্য সবাই টেম্পু ছেড়ে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা চালায়। তবে একটি জিনিস ভেবে খারাপ লাগে আগে এই টেম্পু গুলো নষ্ট হলে যে মিস্ত্রীরা এগুলো ভালো করত তাদের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারা এখন অন্য কাজে জড়িত হয়ে গিয়েছে। আমার জানা মতে টেম্পু সবথেকে দেখা যেত রাজশাহীতে। রাজশাহীতে বেশি পরিমাণে টেম্পু ব্যবহার করা হতো। এক জায়গা থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য এগুলো লাগতো। আপনি টেম্পু নিয়ে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেকদিন পর আমি এই টেম্পু দেখতে পেলাম। আমি বহু বছর আগে এই টেম্পু রাস্তায় দেখেছিলাম তারপর থেকে আর দেখতে পাই নাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি ঐতিহ্যমূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
টেম্পু নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে টেম্পুর প্রচলন বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে অটো ভ্যান ও অটোর জন্য টেম্পুর ব্যবহার একেবারে কমে গেছে। আগের মতো তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। আমাদের এলাকায় ও কয়েকজনের টেম্পু ছিল।
@md-sajalislam.
এক সময় খুবই জনপ্রিয় বাহন ছিল টেম্পু, এখন টেম্পু বিলুপ্তির পথে, আগের যুগে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিলো এই টেম্পু। বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠানে বরযাত্রী যাওয়ার জন্য টেম্পু ব্যবহার করা হতো, আমি ছোটবেলায় দেখেছিলাম আমার কাকার বিয়েতে কয়েকটা টেম্পু নিয়ে বর যাত্রী যাওয়া হয়েছিলো। আগের যুগে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য টেম্পু ছিলো অন্যতম মাধ্যম। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা টেম্পুর সাথে তেমনটা পরিচিত নয়। আমিও অনেকদিন পর টেম্পু দেখতে পেলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে ভাই। অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া জনপ্রিয় টেম্পু যানবাহন এখন বিলুপ্ত। গ্রাম অঞ্চলগুলোতে তো ময়নাতদন্ত করলেও একটি টেম্পু পাওয়া যাবে না। তবে শহর অঞ্চল গুলোতে টেম্পুর বদলে সিএনজি ব্যবহার করা হয়। ঠিক বলেছেন ভাই আর কয়েক বছর পর এগুলো কোনভাবেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সেই পুরনো যানবাহন টেম্পু সম্পর্কে পোস্ট ক্রেট করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
টেম্পু সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান প্রজন্মে কেউ এই টেম্পু বেশিটা চেনে না কিন্তু কিছু বছর আগে এই টেম্পুর প্রচলন অনেক বেশি ছিল এবং এগুলোই রাস্তায় বেশি যাতায়াত করত। এবং আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নানু বাড়ি যাওয়া সময় এই টেম্পুতে করে যাতায়াত করতাম অনেক সুন্দর চারপাশ দিয়ে কত সুন্দর বাতাস ছিল। এই গাড়িগুলোতে চরলে ভিতরে অনেক প্রশান্তি থাকতো ঠান্ডা আবহাওয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সকলের মাঝে একটি সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আপনাকে জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আগেরকার দিনে টেম্পু প্রায় চারদিকে দেখা যাইতো। কিন্তু এখন সেটা আশেপাশে দেখা যায় না। তবে সেইদিন যখন রংপুর গেছিলাম। সেখানে শুধু একটা টেম্পু দেখতে পেয়েছিলাম যেটা আমাদের রংপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত আসতো। কিন্তু যত দিন যাবে হয়তো সেটাও হারিয়ে যাবে। হারিয়ে যাওয়া জিনিসটা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই এসব গাড়ি এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। এখন আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন অনেক গাড়ি উঠায়, এসব টেম্পুতে এখন আর কেউ যাতায়াত করে না। এখন রাস্তাঘাটে যাও দুই একটা দেখা যায় সবই মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। টেম্পু সম্পর্কে খুব সুন্দর বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ভাই।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একটা সময় ফুলবাড়িতেও টেম্পু দেখা যেতো ভাইয়া। কিন্তু এখন ব্যাটারি চালিত অটোর কারনে আর দেখতে পাওয়া যায় না। এই ট্যাম্পু যখন ছিলো তখন জ্যাম অনেক কম হয়েছিলো রাস্তায় কিন্তু এখন সি এন জি গুলো একটু ফাকা পেলেই ঢুকিয়ে দেয় যার কারনে রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে। কবে যে এই ট্যাম্পু লাস্ট দেখেছিলাম মনে নেই ভাই। ১০ জন যাত্রী চলাচল করতে পারে মানে একটু তো বড়ই মনে হচ্ছে।