ভালোবাসার গল্প

in #life6 years ago

রুম ডেড ৪২০
২য় পর্ব
.
আমি কাপা কাপা হাতে বাথরুমের দরজা খুললাম।
খুলে যা দেখলাম তা কল্পনাও করতে পারিনি কখনো।
আর এতোটা ভয় কখনো পাই ও নি জিবনে।
.
আমি নিজে বাথরুমের ট্যাব অফ করে রাখছি অথচ পানি পড়ছে।
কিভাবে সম্ভব।কেও তো আসেও নি এখানে।
আমি অফ করে বাথরুম থেকে বের হতে যাবো ঠিক তখনি
একটা শব্দ।
চিৎকারের শব্দ আসলো একটা মেয়ের কন্ঠ থেকে।
এবার বেশ ভয় পেয়ে গেলাম।
দৌড়ে বের হয়ে গেলাম বাথরুম থেকে।
.
তবে কি ভুত নাকি আত্মা আছে কোনটা?
মাথা কাজ করছে না হঠাৎ বাথরুমে খুব জোরে পানি পড়ার আওয়াজ পেলাম।
কিন্তু যাওয়ার সাহস পাচ্ছিনা। একটু আগেই যে ঘটনা ঘটলো সত্তি বলতে এবার বেশ ভয় পেয়ে গেছি।
কি করবো বুঝতেছি না।
হঠাৎ একটা আওয়াজ কান্নার আওয়াজ।
খুব সম্ভবত মেয়ে কন্ঠের একটা আর্তনাদ।
কেও যেনো খুন করছে কাওকে এমন শব্দ।
পাশাপাশি পানি পড়ার শব্দ চলছেই।
,
একবার ভাবলাম বাইরে চলে যাই।জিবন তো বাচাতে হবে।
কিন্তু দরজায় হাত দিতেই দরজা বন্ধ পেলাম।
বাইরে থেকে লক করা।
.
এতোক্ষন যতটা ভয় না পেয়েছিলাম তার চাইতে বেশি ভয় পেলাম দড়জা বন্ধ থাকায়।
মাথা কাজ করছে না আমার। মাথাটা ভাড়ি হয়ে আসছে।
আমার সাথে কি কি ঘটছে এসব কি সত্তি নাকি সাজানো শুধু গল্প মাত্র।
ভয়ের মাত্রা আরো তিব্র হলো যখন বাইরে কারো হেটে যাওয়ার শব্দ পেলাম।
,
ঝিম ঝিম ঝিম
মনে হচ্ছে কেও নুপুর পায়ে হেটে যাচ্ছে। কিন্তু কে সে।
রুমের ভেতরেই বা কে আর বাইরেই বা কে।
.
নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে বাইরেও যেতে পারছি না ভিতরেও থাকতে পারছি না।
কি করবো আমি কি করবো।
মাথা ঘুরাচ্ছে।
হঠাৎ একটা ধোয়ায় ভড়ে গেলো পুরো রুমটা।
এবার আর সামলাতে পারলাম না নিজেকে
বলে উঠলাম,

  • কে?সামনে আসো পারলে এভাবে চোরের মতো আছো কেনো?(ইমন)
    -...............
    শুধু হার হিম করা একটা কন্ঠ শুনতে পেলাম।
    চলে যা এখান থেকে।
    পুরো রুমটাতে কথাটা বারবার প্রতিধ্বনি হতে লাগলো।
    চলে যা চলে যা চলে যা।
    ,
    আমি স্তব্ধ হয়ে চোখটা বন্ধ করে বসে আছি হঠাৎ কারেন্ট চলে আসলো।
    দেখলাম ফযরের আজান হচ্ছে।
    মানে আর কোনো ভয় নেই।
    মনে মনে আল্লাহকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলাম।
    তারপর সকাল হতেই চলে আসলামম।
    দুদিনের জন্য রুম বুক করা।
    ,
    বাইরে আসতেই ম্যানেজার বললো,
  • আপনি ঠিক আছেন তো,?(ম্যানেজার)
  • হ্যা।(ইমন)
    .
    আর কিছু না বলে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
    কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না ব্যাপারটা।
    কি হলো এগুলা আমার সাথে। সত্তিই কি ভুতুরে কান্ড নাকি অন্যকিছু।
    ভুত জিনিসটাই অবিশাস্ব।
    জিবনে কোনোদিন ভুতে বিশ্বাস করি নাই আর কাল রাতের ঘটনা কিভাবে অস্বিকার করি আমি।
    বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ভাবতে লাগলাম।
    ,
    নাহ মরতে হলে মরবো তারপরও এই রহস্য আমি উদঘাটন করেই ছাড়বো নিজের মন মানছে না কিন্তু চোখে দেখা জিনিসটাকেও তো অবিশ্বাস করা যায়না।
    ,
    এক অদ্ভুদ ঘোরে পড়ে গেলাম।
    হঠাৎ ছোট ভাইটা এসে বললো,
  • ভাইয়া তোমার সাথে একটা মেয়ে দেখা করতে এসেছে।(সাইম)
  • ওকে আসতে বল।(ইমন)
    ,
    প্রায় দুমিনিট পর সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে আসলো রুমে।
    দেখতে ভালো লম্বা আছে ফেস এর গঠন ও ভালো।
    মেয়েটা আসতেই বললাম,
  • বসুন।(ইমন)
  • জ্বি কিছু কথা ছিলো।(মেয়ে)
  • হ্যা বলুন কি কথা?(আমি)
  • আপনি নাকি রুম নাম্বার ৪২০এ রাত কাটিয়েও বেচে আছেন?(মেয়ে)
  • হ্যা তবে অনেক অবিশ্বাসি ঘটনা ঘটে গেছে।(ইমন)
  • আপনি কি আবারো যাবেন ওখানে?(মেয়ে)
  • হ্যা আজকের রাতটাও ওখানেই কাটাবো।(ইমন)
  • আমি কি আপনার সাথে যেতে পারি?(মেয়ে)
  • দেখুন এটা খেলার জিনিস না লাইফের ঝুকি আছে এতে আর অনেক ভয়ংকর ঘটনা ঘটে ওখানে।(ইমন)
  • আমার খুব ইচ্ছা কি হয় ওখানে এটা জানার আমি মরতেও রাজি আছি শুধু নিয়ে চলুন প্লিজ প্লিজ।(মেয়ে)
  • নাহ আপনি এখন আসতে পারেন।(ইমন)
  • আচ্ছা।(মেয়ে)
    .
    মেয়েটা উঠে দু কদম এগুলো আমি ডাক দিয়ে বললাম,
  • নাম কি?(ইমন)
  • নিলিমা।(মেয়ে)
  • সন্ধা সাতটায় বাসায় আসবেন।(ইমন)
  • তার মানে নিয়ে যাবেন?(নিলিমা)
  • হুমম যদি মরতে রাজি থাকেন তাহলে।(ইমন)
  • আমি রাজি।(নিলিমা)
    .
    সেই একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো মেয়েটা।
    এর সাথে রুম নাম্বার ৪২০ টা মনে হচ্ছে বেশ রোমান্চকর হবে।
    আর একজন সাথে থাকলে আরেকটু সুবিধা হবে।
    .
    এজন্যই সাথে নিবো আর কিছু না।
    .
    সেই একটা ঘুম দিলাম সারারাত ঘুমাতে পারি নাই।
    ঘুম ভাঙলো সন্ধার দিকে।
    নামাজ পড়ে একটু আগেই খেয়ে নিলাম।
    গিয়েই কাজে লেগে পড়বো।
    রাত এগারোটার আগে কিছু হয়না রুমে।
    তাই আগে গিয়ে একটু সবকিছু চেক করে দেখতে হবে।
    ,
    সন্ধায় দেখি মেয়েটা নাই বাসায়।
    হিহিহি ভয় পাইছে মনে হয়। মেয়ে মানুষ নাকি আবার জিবনের ঝুকি নিবে।
    দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনলাম।
    .
    আর যাবতীয় সরন্জাম নিয়ে রওনা দিলাম।
    মেয়েটা আসেনি সাথে। একা একাই থাকতে হবে আরো একটা রাত।
    ,
    হোটেল এ গিয়ে ম্যানেজার এর দিকে তাকালাম।
    উনি আজকে আমাকে দেখে সেই রকম অবাক হইছে।
    ওই রুমে একরাত কাটানোর পর আর কেও জিবনে এই হোটেল এর নাম মুখেই আনেনি আর আমি আবার চলে আসলাম।
    .
  • কি ব্যাপার আপনি??(ম্যানেজার)
  • দুদিনের জন্য বুক করছি টাকা তো আর লস দিতে পারিনা তাইনা?(ইমন)
  • স্যার আপনার টাকা আপনি ফেরত নেন তারপরও আর থাইকেন না ওই রুমটাতে।(ম্যানেজার)
  • আমি আজকের রাতটাও ওখানেই থাকবো।(ইমন)
  • সাথে আমিও।(নিলিমা)
    .
    আমাকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটা চলে আসছে।
    উফফ বাড়তি টেনশন।
    তবে রাতটা ভালোই কাটবে মনে হয়।
    মেয়েটাকে দেখে তো সাহসি মনে হচ্ছে তবে দেখা যাক কতটা সাহসি।
    .
    মেয়েটাকে নিয়ে রুমে ঢুকলামম।
    কাল রাতের ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
    ক্যামেরাটা খুলতে ভুলি নাই।
    যেখানে লুকানো ছিলো সেখানেই আছে।
    এমন একটা যায়গায় ক্যামেরাটা রাখ যেখানে সচরাচর কারো চোখ পড়বে না।
    .
    আমি ক্যামেরাতে হাত দিলাম না।
    ওইটা ওখানেই থাক। বাকি সবকিছু গুছালাম।
    আজকে আবার নতুন কি ঘটবে সেটাই চিন্তা করতাছি।
    এমন সময় নিলিমা নামের মেয়েটা বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।
    তারপর চিৎকার করে উঠে।
    আমি দৌড়ে বাধরুমে যাই। কি হলো আবার।
    আমিও এই বাথরুমেইই ভয় পাইছিলাম।
    .
    গিয়ে দেখি কানে হাত দিয়ে চিৎকার করতাছে।
  • কি হইছে?(ইমন)
    মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে ধরে লাফাতে লাগলো আর বলতে লাগলো,
  • ওখানে ওখানে ওখানে......(নিলিমা)
  • ওখানে কি..?(ইমন)
  • তেতে তেলাপোকা।(নিলিমা)
    .
    ধুরররর এ কাকে নিয়ে আসলাম আমি তেলাপোকা দেখেই এমনঅবস্তা আর যখন হবে ওইসব হবে তখন যে কি করবে তার চিৎকার শুনে মনে হয় ভূতটাই ভয় পেয়ে যাবে।

,
এতো গুলো বিরক্তি নিয়ে রুমে ফিরছিলাম।
হঠাৎ বিচানার নিছে চোখ গেলো।
FB_IMG_1541478110527.jpg

ভয়ে ভয়ে হাত দিলাম সেখানে। একটা জিনিস পেলাম।পকেটে পুরে রাখলাম। না আজকের রাতটা সেই রকম কাটবে মনে হচ্ছে।
,
মেয়েটা বেরিয়ে আসলো বাথরুম থেকে।
-এসে বললো
-সরি (নিলিমা)
বন্ধুরা আপনাদের যদি গল্পটা ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট জানাবেন আর আমাকে flowe করবেন upvot দেবেন

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 70880.42
ETH 3658.45
USDT 1.00
SBD 3.75