নতুন প্রবীণদের নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ০৩
আমার বাড়িওয়ালা গত জুনে এক লাফে দু'হাজার টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করেছেন। অন্য ভাড়াটিয়ারা আমার নেতৃত্বে বাড়িওয়ালার সাথে দেখা করলো । তাঁর সাফ জবাব, না পোষালে অন্যখানে চলে যান। জমিদার বাড়িওয়ালার সামনে কাকুতি-মিনতিতে কাজ হলো না। ফিরে আসার সময় সবাই কোন না কোন মন্তব্য করলো। শেষে একজন মন্তব্য করলো, আপনি বাড়িওয়ালার খাস লোক কিছু সুবিধা আপনি পাবেন। এসব মন্তব্যে গা জ্বলে উঠলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, বাড়িওয়ালার খাস লোক হওয়ার দরকার নেই । প্রতি বছরই তিনি আমাকে সঙ্গে করে পশুরহাটে কোরবানির পশু কেনেন। আমিও সবার সামনে দিয়ে বুকটান করে বাড়িওয়ালার গাড়িতে পশুরহাটে যাই । স্ত্রীর সামনে ভাব নেই । বলি, তুমি আমাকে গুরুত্ব দেওনা । জ্ঞানী লোকেরা ঠিকই আমার গুরুত্ব বোঝে। স্ত্রী টিপ্পনি কেটে বলবে, সবারই চামচা থাকে । তোমারও চামচা হওয়ার সখ। চামচা আর টিস্যু পেপার একইরকমের জিনিস।
আমি আর স্ত্রীকে ঘাঁটাতে চাইলাম না। আমি জানি কিছুক্ষণ পরই আরও জঘন্য কুৎসিৎ কোনো কথা মুখ দিয়ে বের হতে পারে। হয়তো বলে বসবে, আকাশে সূর্য যতক্ষণ-বালুর তাপ ততক্ষণ । শেষ রফা হলো না। বাড়িওয়ালা দারোয়ান দিয়ে খবর পাঠালো দেখা করতে । আমাকে দেখে একগাল হেসে বললো, চলুন গাবতলী গরুরহাটে যাই। আমি বিভিন্ন অজুহাত তুলে না যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কাজ হলো না । যেতে হলো সাথে । স্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলেন। এগিয়ে এসে হাতে ছাতাটা গুঁজে দিলেন । আমি ছাতা হাতে বাড়িওয়ালার সাথে গাড়িতে গিয়ে উঠলাম । যানজট অতিক্রম করে হাতিরপুল থেকে গাবতলী যেতে ঘন্টাদেড়েক লেগে গেল ৷ গাবতলীতে শত শত ট্রাক গরু নামানোর অপেক্ষায় রয়েছে। গরুগুলোর দিকে তাকিয়ে কেন যেন মায়া হয়। কতদিনের পরিচিত স্থান ত্যাগ করে ব্যাপারীর সাথে গাবতলীর হাটে গরুগুলো আসছে। আহা! যেখানে গরু নামানো হয়েছে সেখানে ব্যাপারীরা ক্ষুধার্ত গরুগুলোকে খড়-বিচালী, খৈল-ভূসি খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত। কেউ কেউ গরুর গা ধুয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অসুস্থ গরুর সেবা
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community