পাগলির ভালবাসা

in #story6 years ago (edited)

পাগলির ভালবাসা <<<<<<

  • এই যে... হ্যালো ।
  • জ্বী আমাকে বলছেন ।
  • না তোমাকে নাতো ।
  • ওকে সরি তাহলে আমি গেলাম ।
  • ওই পোলা এত্ত ভাব নাও কেন ।
  • পায়ের নিচে থেকে উপর পর্যন্ত তাকাই
    দেখলাম ,
    আমিতো ১০০টাকার জুতো , ৪০০ টাকার
    প্যান্ট
    আর '১৫০ টাকার একটা গেঙ্গি পড়ে আছি ।
    ৬৫০ টাকার কাপড় পড়ে ও কী ভাব মারা
    যায়
    মেয়েটার জুতোটার দিকে তাকাইলাম ।
    আমার সব কিছু কেনার টাকা দিয়ে ওর
    একটা জুতো ও হবে না ...।
    মেয়েটাকে বললাম ...
  • আসলে আপনি মনে হয় কিছু ভুল করছেন ,
    আপনার একটা জুতোর টাকা দিয়ে আমার
    অল বডি এর কাপড় কেনা হয়ে যাবে ।
    আর এই গুলো দিয়ে আমি কেমনে ভাব মারব
    ,
    আপনি যাকে খুঁজছেন আমি সে না ।
  • আচ্ছা মানলাম তুমি সে না , তোমার
    নাম তো সাহরিয়া তাই না ।
  • সাহরিয়া নাম তো অন্য কারো ও হতে
    পারে ।
  • ওই পোলা একটা চর দিমু , আমাকে
    তুমি চেন ।
  • না মানে একবার দেখছিলাম আমাদের
    ক্লাস
    এ , আর আপনার জন্য তো সব ছেলেরা পাগল
  • বাহ অনেক কিছু জানো তো , আচ্ছা বলতো
    আমার নাম কী ।
  • না মানে আমি আপনার নাম তো জানি
    না ।
  • ওই পোলা আমার নাম জানো না ক্যান ।
  • আরে আমি আপনার নাম দিয়ে কী করব
    আজব তো ।
  • আমার নাম নিধি , এরবার থেকে মনে
    রাখবা না হলে ............. ফেলব, মনে থাকে
    যেন ।
  • আচ্ছা আমি গেলাম ।
  • ওই গেলাম মানে , কই যাবা ।
  • আমার দুইটা ছাত্র পড়াতে যেতে
    হবে ।
  • ওকে যাও বাট কালকে কলেজে আসবা ।
  • মাথাটা একটু নেরে চলে আসলাম ।
    আজব মেয়ে এসে বলে কী না তাঁর নাম
    মনে রাখতে হবে ।
    দুইটা ছাত্র পড়াই রাত আট টাই বাসাই
    আসলাম ,
    বাসা মানে ।
    আমি আর এক বড় ভাই মাঝারি সাইজ
    এর এরটা রুম নিয়ে থাকি ।
    আমি গ্রামের একটা সাধারণ ঘরের ছেলে
    অনেক কষ্টে পড়াশুনা চালাই যাইতেছি ,
    আমি তেমন বড় কোন স্বপ্ন দেখি না
    আসলে গরীব দের বড় স্বপ্ন দেখা মানে
    আজাইরা সময় নষ্ট ।
    কিন্তুু আমি সব সময় অনেক কিছু নিয়ে
    ভাবি কারণ ...
    আমি একটা উক্তি পড়েছিলাম ।
    হতাশ হয়ে যে ও না ,
    তুমি যা ভাবো, তাঁর চাইতে তুমি বেশি
    জানো ।
    কথাটার অর্থ আমি উপলদ্ধি করতে পারি
    কিন্তুু সেটা বুঝিয়ে বলতে পাড়ি না ।
    যাই হোক আমার মনে হয়
    এই কথাটায় আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে ।
    পরেরদিন সকালে কলেজে গেলাম ।
  • একটা বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে
    বসে আছি , অনেকক্ষণ যাবত বসে আছি ।
    হঠাৎ পিছনথেকে ...
  • ওই সাহরিয়া তোমাকে আমি সেই কখন
    থেকে
    খুঁজতেছি ।
  • কেন ।
  • ওই কেন মানে কী হুমমমমমম , আমার খিদে
    লাগছে চলো খাবো ।
  • হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো ক্যান্টিনে ।
    আমাদের খাবার এর সময় ওর আর ও কয়টা
    খাদক
    ফ্রেন্ড এসে জুটল ।
    এটা ওটা খেয়ে সবাই বিদাই সাথে নিধি
    ও চলে গেল ।
    আমি শুধু হা করে আছি , আর ভাবছি পাঁচ
    দিন দুপুরে না খেয়ে থাকা লাগবে ।
    না এই সব মেয়েদের কাছে থেকে যতই
    দূরে থাকা যায় ততই ভালো ।
    সব ক্লাস শেষ করে হেঁটে হেঁটে বাসাই
    যাচ্ছি ।
  • সামনে একটা কার এসে দাঁড়ালো ,
    আমি আমার নিজ গতিতে যাচ্ছিলাম ।
    কারণ আমার জন্য আজ পর্যন্ত কোন
    সাইকেল ও দাঁড়াই নাই আবার কার ।
    পিছন থেকে মেয়েলি কণ্ঠে কেউ ডাক
    দিলো ...
  • সাহরিয়া ....।
  • বুঝতে আর বাঁকি রইল না এটা নিধির গলা

    তাই দাঁড়াই গেলাম ।
  • হুমমমমমম বলেন কী বলবেন ।
  • ওই তুমি আমাকে তুমি করে বলবা ।
  • আচ্ছা বলো কি বলবা ।
  • সাহরিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
  • আচ্ছা আমি গেলাম ।
  • ওই আমার উত্তর দিয়ে যাও ।
  • আমার কোন উত্তর জানা নাই ,
    আমি গেলাম ।
  • যদি আর এক পা সামনে দাও না পা
    ভেঙ্গে ফেলব ।
  • আরে দূর যাও না , আরো অনেক পোলা তো
    আছে , তাঁদের গিয়ে বলো আমাকে বলা
    ক্যান লাগবে ।
  • ওই তোমাকেই তো ভালোবাসি তাইলে
    অন্য পোলা কে বলতে যাবো কেনো ।
  • হা হা হা ভালবাসো তাও আমাকে ,
    আচ্ছা
    কার সাথে কত টাকার বাজি ধরছ , নাকি
    সব্বাইকেই দেখানোর জন্য যে
    দেখো, যেই ছেলে কোন মেয়ের সাথে
    কথা বলে না তাঁকে আমার পিছন পিছন
    ঘুরাইতেছি ।
    আর মজা নেয়া শেষ হইলে ছেলেটাকে
    ছেঁড়ে দিবা ।
    এই তোমার মতো মেয়ে গুলোকে না আমি
    ভালো করে চিনি ।
    আচ্ছা যাই হোক আমার মতো একটা গরীব
    ছেলের সাথে এমনটা করবে ভেবে একটু ও
    খারাপ লাগলো না , যে পরে আমার
    কী হতে পারে , আমার জায়গাতে অন্য
    ছেলে
    হলে তো ঠিক পটে যেত ।
    আর শেষ অব্দি ছেলেটার লাইফ শেষ ,
    এতেই তোমরা মজা পাও তাই না ।
    কাউকে ভালবাসলে মন থেকে বাসবা ,
    আর না হইলে কোন দরকার নাই ।
  • আর হ্যাঁ আমার কথাই রাগ করে থাকলে
    সরি , আমি গেলাম ।
    চলে আসছি আর ভাবছি কথা গুলো বলার
    সময় ।
    মেয়েটা কিছু বলেনি শুধু ও দিকে
    যখন তাকাইছিলাম তখন দেখলাম ওর চোখ
    দিয়ে পানি পড়ছে ,
    মনে হয় একটু বেশি বলে ফেলছিলাম ।
    আসলে অনেক টেনশন এর মধ্যে ছিলাম ,
    তাই মুখে যা আসছে বলে ফেলছি এখন
    আর ওই সব ভেবে কোন লাভ নাই ।
    বাসাই আসলাম গোসল করে লম্বা একটা
    ঘুম ,টাকা নাই তাই দুপরের খাবার অফ ,
    ৪ টার দিকে দুইটা ছাত্র পড়াইতে যেতে
    হবে ,তাঁদের পড়াইতে গেলে চা বিস্কিট
    দেই ওই
    গুলো দিয়ে দুপরের খাবার মেকআপ ।
    এই ভাবে ভালোই দিন যাচ্ছিল ,
    কলেজে গেলে নিধি ও আর বিরক্ত করে না

    না মানে ওকে দেখতে পাই নাই কয়দিন
    থেকে , মনে হয় আসে নাই ।
    ওই সব ভেবে আমার কোন লাভ নাই ,
    ওরা অনেক বড়লোক , আর আমি কই একটা
    গ্রামের কৃষক এর ছেলে ।
    আজকে ও সেই
    বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে
    বসে আছি ।
    হঠাৎ একটা মেয়ের আগমন ।
  • আপনি কী সাহরিয়া ।
  • হুমমমমম বলেন ।
  • আচ্ছা আপনার এত্ত কীসের ভাব শুনি ।
  • দূর আবার সেই প্রশ্ন , আচ্ছা আপনি
    আমার কোন দিকটা দেখে ভাব মনে হইল
    বলেন ।
  • ওই আপনি নিধি কে কী সব আবল তাবোল
    বলছেন হুমমমম , ও কে জানেন , এই শহরের
    সব থেকে বড়লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে ।
    ওর পিছনে কত ছেলে ঘুর ঘুর করে , ও কাউকে
    পাত্তা দেই না ,
    আপনার মতো এমন একটা ছেলেকে ও কেমনে
    যে ভালবাসলো আমি ভাবতে পারছি না ।
    আর আপনি কী না তাঁকেই ওইসব কথা
    শুনাই দিলেন ছি ...
    পাগলিটা সেই দিনের পর থেকে
    কিচ্ছু খায় নাই জানেন ,
    শুধু কেঁদে চলেছে ।
    কলেজে যখন আপনাকে প্রথম
    দেখেছে তখন থেকে শুধু আপনার
    কথাই বলতো ,
    জানতাম না যে আপনি এমন হবেন ।
  • আচ্ছা আমি এখন গেলাম , আর কালকে
    নিধিকে
    কলেজ এ আসতে বইলেন , ওর সাথে আমার
    অনেক কথা আছে ।
  • না ও আসবে না ।
  • আচ্ছা না আসুক , আপনার বলার বলবেন ।
    আর একটা কথা মানিকে যেমন রতন চেনে ,
    তেমনি পাগলিটাই তাঁর পাগলকে চেনে ।
    কালকে ১১ টার দিকে আসতে বলবেন ,
    আমি গেলাম ।
    বলে বাসাই চলে আসলাম ...।
    পরের দিন ১১ টাই সেই
    কৃষ্ণচূড়া গাছের কাছে যেতেই দূর থেকে
    দেখলাম নিধি বসে আছে ।
    পাগলিটা কেমন শুকাই গেছে , আর চোখের
    নিচে কালো দাগ পড়ে গাছে ।
    কাছে গিয়ে তাঁর পাশে বসলাম ,
    নীল শাড়ী পড়ে এসেছে কেমন পরী দের
    মতো লাগছে ।
  • নিধি আমাকে মাফ করে দাও ,
    আমার ওই ভাবে বলা ঠিক হয় নাই ।
    আসলে কী করব বলো আমার নিজের খরচ
    পড়াশুনার খরচ আমাকেই চালাতে হয় ।
    গ্রামে একটু জমি আছে ওই গুলো দিয়ে
    সংসার
    চলে , আমার মতো ছেলেদের কোন শখ করতে
    নেই জানো , আর ভালোবাসা তো দূরে ,
    তোমার জন্য আমি কিচ্ছু করতে পারব না ।
    যেই ছেলের নিজের দুইবেলা ভাত জুটে
    না সে তোমাকে কেমনে ভালবাসবে বলো

    বলতে লজ্জা করছে তোমাদের সেইদিন
    ওই খাবার এর বিল দেওয়াতে আমি এখন
    প্রতি
    দুপুরে না খেয়ে থাকা লাগে ।
  • ওই কী বলো এই সব ,তার মানে এই কয়দিন
    দুপরে
    তুমি না খেয়ে ছিলে ।
  • হুমমমমম ।
  • তুমি না একটা পাগল ,তাইতো মুখটা এমন
    শুকনা
    লাগছে (মনে হয় এই কেঁদে দিবে ) ।
  • আচ্ছা এত সব শোনার পড়ে কী ভালবাসবা
    বলো ।
    আচ্ছা আমি গেলাম ।
  • ওই নিজেকে কী মনে করো হুমমমম , একটা
    মেয়েকে
    কাঁদিয়ে শান্তি পাও তাই না ।
  • আর এ বাবা আমি তো গরীব ।
  • তাঁতে কী হয়েছে আমি তোমাকেই
    ভালোবাসব ,
    আর তুমি খালি এত্ত বেশি বোঝ কেন
    হুমমমম , তুমি
    গরীব তো কী হয়েছে আমি তো আছি ।
    এই সাহারিয়ার প্রোপোজ করো,,,i love u nidhi.I love u too.
  • আচ্ছা ছেঁড়ে যাবা নাতো ,
    বলতেই এসে জরাই ধরল
    ওই কী করছ সবাই দেখছে তো ।
  • তুমি না বললে ছেঁড়ে না যেতে ,
  • ওই পাগলি তাই বলে সবার সামনে জরাই
    ধরবা ।
  • হুমমমমম ধরবো ..... আচ্ছা চলো খাইতে
    যাবো ।
  • না না থাক একদিন যেয়েই আমাকে দুপরে
    না খেয়ে থাকতে হয় , আজকে গেলা সকাল
    আর রাতে
    ও না খেয়ে থাকতে হবে ।
  • হি হি হি দূর পাগল চলো তো ।
  • তুমি বিল দিবা তো ।
  • হুমমমম ।
  • আহা কত দিন থেকে পেট ভরে খাই নাই
    আজকে তো সব খাবো ।
  • পাগল একটা ...।
  • পাগলি একটা ...।
  • ওই কী বললা ... দাঁড়াও আবার সবার
    সামনে জরাই ধরবো ।
    কী মেয়েরে বাবা ... আপনারা
    সবাই চক্ষু দুইটার জানালা বন্ধ কইরা
    ফালান ... পাগলিটা আমাকে জরাই ধরার
    সময় আপনারা দেইখা ফেললে আমারে সরম
    লাগবো তো হি হি হি ...............।

সমাপ্ত<<
@cleverbot
@banjo

Sort:  

No, you are not. And your responses always have nothing to do with what I am saying.

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.034
BTC 63688.35
ETH 3125.30
USDT 1.00
SBD 3.97