আলু, সজনে ডাঁটা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল রাতে আমি শিং মাছ রান্না করেছিলাম। এই শিং মাছ সেই লাস্ট খেয়েছিলাম মাসখানিক আগে, তাই আবার একটু এই মাছের স্বাদটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য খেলাম। মাছটি কিনে এনেছিলাম বাজার থেকে ৩ দিন আগে আর কেটেকুটে রাখা ছিল ফ্রিজে। এই শিং মাছগুলোকে এক কোথায় জিওল মাছও বলা যায় কারণ জিওল মাছের তালিকায় যেসব মাছ আছে তার মধ্যে এই শিং মাছও আছে। এই শিং মাছগুলো সাইজে মোটামুটি ভালোই বড়ো হয় কিন্তু বাজারে এখন সব ছোটই ওঠে। তবে এইসব মাছ ছোট হলেও খেতে দুর্দান্ত হয়ে থাকে। আর এইসব মাছ দিয়েও তরকারিও ভালো জমে কিন্তু সেই স্বাদের আসর জমাতে গেলে সংখ্যায়ও খানিকটা বেশি হওয়া দরকার। যাইহোক আমি এই মাছটিকে সজনের ডাঁটা দিয়ে রান্না করেছি। সজনেটাও বেশ পক্ত ছিল আর বীজও হয়েছিল, ফলে খেতেও টেস্ট হয়েছিল। সজনের ডাঁটা চাবানোর সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, এইজন্য আমি সবসময় গালে অনেকগুলো দিয়ে সময় নিয়ে চাবাতে থাকি , বেশ মজা লাগে। যাইহোক এখন আমি এই মাছের রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
❦এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
❖শিং মাছগুলো আগে কেটে রাখা ছিল, আমি শুধু জল দিয়ে আরেকবার ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর সজনের ডাঁটাগুলো কেটে ছোট ছোট খন্ড করে নিয়েছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়ানোর পরে কুচি করে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে রেখেছিলাম।
❖কেটে রাখা শিং মাছের গায়ে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে গায়ে মাখিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মাছের পিচগুলো সব ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলো লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ কুচিগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖জিরা হালকা করে ভেজে নিয়ে তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে লঙ্কার গুঁড়ো, লবন, হলুদ আরো এক চামচ করে দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ভাজা আলুর সাথে সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖তরকারিটা কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নেওয়ার পরে তাতে সজনের ডাঁটাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖সজনের ডাঁটা দেওয়ার পরে জ্বাল হালকা কমিয়ে দিয়ে তাতে ভাজা মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা পেঁয়াজ কুচিও দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ কুচি দেওয়া হয়ে গেলে তরকারির থেকে খানিকটা আলু তুলে নিয়ে হাতা দিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলু গলিয়ে নেওয়ার পরে সেটি আবার তরকারিতে ঢেলে দিয়েছিলাম এবং জ্বাল পুনরায় বাড়িয়ে দিয়ে তরকারিটা সম্পূর্ণ হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
❖তরকারিটা পুরোপুরি হয়ে গেলে আমি তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। তরকারিটা খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিল। আপনারাও এই পদ্ধতিতে বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শিং মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। দেশি শিং মাছের মজাই আলাদা। শিং মাছ অনেক পুষ্টিকর একটি মাছ। শিং মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের পরিমাণ বেশি। তাই প্রাচীনকাল থেকেই রক্তশূন্যতার রোগীদের শিং মাছ খেতে বলা হয়। এটি হাড়ের ঘনত্বও বাড়ায়। সজনে ডাটা আর শিং মাছের কম্বিনেশন দারুন হয়। আমি সজনে ডাটা দিয়ে অনেকবার শিং মাছ খেয়েছি।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে সজনে ডাটা ও আলু দিয়ে শিং মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি রেসিপিটি তৈরি করার জন্য আলু, শিং মাছ ভেজে নিয়েছেন প্রথমে। এ জন্য রেসিপির কালারটাও সুন্দর হইছে। আমি সজনে ডাটা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি অনেক পছন্দ করি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন দাদা, সজনে ডাটা চাবাতে অনেক মজা লাগে। ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে সজনে ডাটাই চাবাতে মন চায়।
দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শিং মাছের এই অসাধারণ রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে আজকেই রেসিপিটি তৈরি করে খাই। তবে আজকে সম্ভব না। যাইহোক, দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
শিং মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। আমার বাসায় প্রায় সব সময় শিং মাছ থাকে কারণ শিং মাছ খেতে আমার খুব ভালো লাগে। শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আর আপনি তো শিং মাছ আলু সজনে ডাঁটার খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সজনে ডাঁটা যে এভাবে রান্না করা যায় তা আমার জানা ছিল না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করলে খেতে খুব ভালোই লাগবে। ভাইয়া আপনার রেসিপিটি সত্যি খুব লোভনীয় হয়েছে। আমি অবশ্যই এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। ষআপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শিং মাছ আমার খুবই ভালো লাগে ভাজা খেতে।এইরকম ডাটা জাতীয় সবজি দিয়ে ঝোল করে খেতে কিংবা আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রান্না করলে এইসব খাল-বিলের মাছ খুবই টেস্টি হয় খেতে।তাই আমিও পরশুদিন সজনে ডাটা দিয়ে পুঁটিমাছ রান্না করেছিলাম। গরমের সময় সজনে ডাটা খেতে ভারী মজা।তাছাড়া এইসব মাছ প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকরী ও ভীষণ উপকারী।ছোট মাছগুলি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য খুবই উপকারীও হয়।
আমরাও এই মাছকে জেল মাছ বলি।এখন সজনে ডাটার দানা বড়ো হয়ে গেছে।তবে বড়ো সজনেগুলি খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।কিন্তু আমি জানি যে,চড়ক পূজার পর নাকি সজনে ডাটা খেতে নেই ।যাইহোক আপনার রেসিপিটা খুবই পুষ্টিকর হয়েছে ও খুবই সুন্দর লোভনীয় হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন দাদা।
আলু ও সজনে ডাঁটা দিয়ে শিং মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন, আসলে শিং আমার খুবই প্রিয়। আর এই শিং মাছের রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আমাদের সমাজে একটা প্রচলন হয়ে গেছে শিংমাছ শুধু রোগীদের খাওয়ানো হয়। কারণ এটি খেলে নাকি রক্ত বাড়ে এবং রক্ত পরিষ্কার হয়। কথাটি সত্য তবে শিং মাছ আমাদের সুস্থ মানুষদেরও খেতে হবে। বাজারে শিং মাছ পাওয়া যায় অনেক, তবে এই শিং মাছের মধ্যে যেগুলো জিওয়াল মাছ বলা হয় অর্থাৎ ছোট সাইজ গুলো আরো বেশি সুস্বাদু হয়। এগুলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায়। চাষকৃত শিং মাছ তেমন ভালো লাগে না। তবে যেগুলো নদীর কিংবা পুকুরের শিং মাছ গুলো বেশি সুস্বাদু হয়। যাইহোক আপনার শিং মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবি মজাদার হয়েছে এবং আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা। সুস্বাদু শিং মাছের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সজনে ডাঁটা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে দাদা। বিশেষ করে সজনে ডাঁটা যখন একদম পুরোপুরি ভাবে পক্ত হয় তখন সেই সজনে ডাঁটা খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। সজনে ডাঁটা দিয়ে ও আলু দিয়ে শিং মাছের খুবই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনি অনেকদিন বাদে শিং মাছ খেয়েছেন তাই খেতে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়াও আপনার রান্না আমার কাছে সবসময় ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।🥰🥰
আপনার তৈরি করা এই রেসিপি খেতে সুস্বাদু হয়েছিল এটা বোঝাই যাচ্ছে দাদা। আমি অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবো। আসলে শিং মাছের রেসিপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি আমার খুবই প্রিয় সজনে ডাঁটা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি তৈরির দক্ষতা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। তেমনি আজকেও আপনি খুবই মজার ও লোভনীয় রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করেছেন। আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতায় দারুণভাবে এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।💓💓💓
দাদা শিং মাছ আর জিওল মাছের পার্থক্য টা আমার জানা নেই। আমাদের এখানে জিওল মাছকেই সবাই শুদ্ধভাবে শিং মাছ বলে থাকে। আসলেই কি এদের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি না তা জানিনা। তবে শিং মাছ যে অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এতে কোন সন্দেহ নেই। দেশি শিং মাছ যদিও এখন খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই চাষের সিং মাছ গুলোই এখন একমাত্র ভরসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে অসুস্থ রোগীদের কে ডাক্তাররা এ মাছ খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে সবসময়ই ভালো লাগে কারণ আপনি মাছগুলো আগে ভেজে নেন। আর শজনে ডাঁটার সঙ্গে রান্নাটি এককথায় অসাধারণ হয়েছে। ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য সেইসঙ্গে রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ❤️❤️👍
একদম ঠিক বলেছেন দাদা আমার কাছেও সজনে চাবানোর সময় অনেক ভালো লাগে। সজনে খেতে আমিও অনেক পছন্দ করি । কিন্তু কখনো এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আমি সজনে ও আলু দিয়ে শুটকি রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু কখনও শিং মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে।এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আলু, সজনে ডাঁটা দিয়ে শিং মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল। দেখে আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন দাদা শিং মাছ গুলো খেতে অসম্ভব মজার হয়। আর যে কোন তরকারি রান্না করলেও খেতে দারুন লাগে। আপনার আজকের রেসিপি শিং মাছ দিয়ে আলু সজনে ডাঁটা মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কালার টা বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে দাদা যা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি ছিল😋। আপনি সব সময় খুব সুন্দর করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে রান্না সম্পন্ন করেন। যা দেখে সত্যি খুব ভালো লাগে এবং খেতেও ইচ্ছে করে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা শিং মাছ দিয়ে আলু ও সজনে ডাঁটার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।